বই ছাপা যন্ত্র আবিষ্কারের ইতিহাস
প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে জার্মানীর এক শহরে এক ছেলে জন্মগ্রহণ করে। বাবা মা তাঁর নাম রাখলেন যোহান গুটেনবার্গ। যোহানের ছেলেবেলা কিভাবে কেটেছিল তা জানা যায় না। কেইবা সেদিন মনে করতে পেরেছিল, এই ছেলেটিই একদিন আধুনিক পদ্ধতিতে ছাপার উপায় আবিষ্কার করবে। যতদূর জানা যায় বিজ্ঞানের উপর যোহানের তেমন কোন আগ্রহ ছিল না। ১৪৩৮ সালে তাঁর বয়স যখন উনচল্লিশ, সে সময় তিনি দু'জন বন্ধুকে শরীক নিয়ে পুরনো ধরনের একটা ছাপাখানা চালু করলেন। তখনকার দিনে ছাপাখানায় টাইপ বা অক্ষর সাজিয়ে ছাপানোর পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি। ছাপানোর কাজটি অত্যন্ত যত্ন ও পরিশ্রম নিয়ে তখন করতে হতো। সে সময় কাঠের একটা বড় পাটার উপর অক্ষর বা নকশা উঁচু করে খোদাই করা হতো। তারপর এই কাঠের পাটার উপরে কালো কালি মাখিয়ে কাপড়ে বা পার্চমেন্ট কাগজে ছাপ মারা হতো। কাগজে ছাপ উঠে আসতো। ছাপ মারার এই কাজটি হাত দিয়েই তখন করা হতো। সে সময় পর্যন্ত কোন বই পৃথিবীতে ছাপানো হয়নি। লেখকরা বই হাতেই লিখতেন পার্চমেন্ট কাগজের উপর। এই কাগজ এত দুষ্পাপ্য আর দামী ছিল যে ধনী মানুষ ছাড়া অন্যেরা এই কাগজ ব্যবহার করতে পারতেন না। একেকটা অক্ষর আলাদাভাবে কাঠের উপর খোদাই করে, একের পর এক অক্ষর বসিয়ে কোন কিছু যে ছাপা যায়- এই বুদ্ধিটা গুটেনবার্গের magazines Move to Archive মাথায় ঢোকাল তাঁর দুই বন্ধু।
চীনাদের প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ১০৪১ থেকে ১০৪৯ সালের মধ্যে কোন এক সময়ে সেদেশে আলাদা আলাদা অক্ষর বসিয়ে ছাপাইয়ের মেশিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু সে ছাপা যন্ত্র তেমন ব্যবহার করা হয়নি, তেমন উন্নতমানের ছিল না। আলাদা আলাদা অক্ষর বসিয়ে কোন লেখা বা বই ছাপার পদ্ধতি আবিষ্কারকে, মানুষের অত্যন্ত উঁচু দরের একটা আবিষ্কার হিসেবে ধরা হয়। এই আবিষ্কার চাকা আবিষ্কার, আগুনকে কাজে লাগানোর বিদ্যা আবিষ্কার বা লেখার অক্ষর আবিষ্কারের মতোই পৃথিবীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মহৎ আবিষ্কার হিসেবে ধরা হয়। সেকালে বই ছেপে পৃথিবীতে সকল মানুষের কাছে জ্ঞান বিজ্ঞান ছড়িয়ে দেবার কোন উপায় ছিল না। বই হাতে লিখে নকল করা হতো। অনেক খরচ ও সময় লাগত। শুধুমাত্র টাকাওয়ালা লোকজনই হাতে লেখা বই কিনতে পারতেন। গুটেনবার্গ অক্ষর সরিয়ে বসানোর ধাতব টাইপ আবিষ্কার করলেন। তারপর পৃথিবীতে প্রথম এই ধরনের ছাপানো বই হিসাবে বাইবেল ছাপালেন ১৪৯৪ সালে। সে সময় মাত্র ৩০০ বই ছাপানো হয়েছিল।
গুটেনবার্গের এই ছাপাই পদ্ধতি আবিষ্কারের পর থেকেই ছাপা শিল্প ইউরোপে বিস্তৃত হতে লাগল। ষোড়শ শতকে সমস্ত পৃথিবীতেই এই শিল্প বিস্তৃত হতে থাকল। ফলে পৃথিবীর সংস্কৃতিতে বিপুল প্রভাব ফেলল। মানুষ পড়তে শিখল, বইয়ের দাম দ্রুত কমতে শুরু করল। কিছুকাল পর মানুষের কাছে সংবাদের গুরুত্ব বড় করে দেখা দিল। মানুষেরা তখন ছোট ছোট কাগজে সংবাদপত্র নাম দিয়ে খবরের কাগজ ছাপতে শুরু করলেন। টাইপ সরিয়ে নতুন করে বসিয়ে ছাপানো বই, ম্যাগাজিন সংবাদপত্র তৈরী করতে অনেকটা সময় লেগে যেত। টাইপগুলো বসাতে হতো হাতে। ফলে ইচ্ছেমতো আকারে খবরের কাগজ তৈরী করা যেত না। ছাপাখানার মালিকরা অনেকদিন ধরেই অসুবিধাটা অনুভব করছিলেন। কিন্তু ১৮৮৬ সালের আগে পর্যন্ত তারা এ অবস্থার উন্নতিতে কিছুই করতে পারেননি। ঐ বছর ওমার মারগেন থানার নামে এক ব্যক্তি বেশ জটিল ধরনের ছাপাযন্ত্র আবিষ্কার করে ফেললেন। এই যন্ত্রটি ছাপা শিল্পে বিস্ময়কর অবদান রাখল। ছাপানো হয়ে এলো অনেক সহজ। তার এই ঐতিহাসিক আবিষ্কার লাইনোটাইপ হিসাবে আজকের পৃথিবীতে পরিচিত। এই ছাপাযন্ত্র প্রথম বসানো হয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। 'নিউইয়র্ক ট্রিবিটিউন' পত্রিকার জন্যই এই মেশিন বসানো হয়েছিল। সেদিন হতে হাতে বসানো টাইপের কষ্টসাধ্য দিন শেষ হলো। হাতে বসানো টাইপের চেয়ে লাইনোটাইপে ছাপতে সময় লাগল দশভাগ কম। লাইনোটাইপ মেশিন যুগান্তকারী অবদান রাখল।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত সংবাদপত্র, বই, সাময়িকী ছাড়াও যে সব কাগজপত্র বেশী পৃষ্ঠায় ছাপাতে হবে, সবই লাইনোটাইপে ছাপা হতো। প্রথম দিককার ছাপাখানা যোহান গুটেনবার্গের হাতে বসানো টাইপ সরিয়ে নতুন করে বসানো ছাপাযন্ত্রের অনেক আগে থেকে ছাপাযন্ত্রের ব্যবহার চলে আসছিল। কাঠের তৈরী দুটো খাড়া খুঁটিকে আড়াআড়ি জুড়ে উপরে নীচে ভারী দুটো কাঠ লাগিয়ে দেয়া হতো। আরও দুটো আড়াআড়ি কাঠ ব্যবহার করা হতো। একটিতে খোদাই করা টাইপ বসানো কাঠের পাটা দেয়া হতো, অন্যটিতে বসানো হতো ছাপ দেয়ার কাগজ। চামড়ার একটি বলের উপর উলের আবরণ দিয়ে সেটা কালিতে চুবিয়ে অক্ষরগুলোর উপর কালি লাগানো হতো। কালো রঙগুলো প্রেসের কালি বানানো হতো। মেশিন অপারেটর কালিলেপা অক্ষরগুলোর উপর কাগজ বিছিয়ে দিতেন। কাগজটি যাতে ছিঁড়ে না যায় তার জন্য কাগজের উপর কম্বল বা নরম কিছু দিয়ে চাপ দেয়া হতো। এরপর হাতল ঘুরিয়ে উপরের কাঠটি দিয়ে জোরে চাপ দেয়া হতো। এতে সময় লেগে যেত বেশ, অনেক সময় একবার ছাপ দিতে তিন মিনিট সময় পর্যন্ত সময় ব্যয় হতো। আজকের যুগের পত্রিকার যদি একটি মাত্র বিশেষ সংখ্যার জন্য এই ধরনের ছাপার সাহায্য নিতে হতো তবে তাতে সময় লাগত পাঁচ হাজার বছর। অথচ পরবর্তী কয়েক শ' বছর এই ধরনের মেশিন দিয়েই ছাপার কাজ চালানো হয়েছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে লোহা দিয়ে তৈরী ১২৮৫ সালে ইতালীর ক্লোরেন্সের সালভিনো ডি'এমাটো নামে এক ব্যক্তি বাঁকানো কাঁচ দিয়ে চশমা বানিয়ে ছিলেন বলে জানা যায়। কারও মতে এর আগেই নিকোলাস বুলেট নামক একজন ফরাসী যাজক ১২৮২ সালে কাঁচের চশমা আবিষ্কার করেছিলেন। এই চশমা দিয়ে তিনি জরুরী দলিলপত্র পড়ে স্বাক্ষর দিতেন। হয়তো এরা দুজনই চশমা আবিষ্কার করেছিলেন প্রায় কাছাকাছি সময়ে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ১২৮০ সালের আগে কেউ চশমার ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায় না। স্বচ্ছ দৃষ্টিশক্তির জন্য কাঁচকে ফ্রেমে আটকানো, চোখের সামনে রাখার ব্যবস্থা ইত্যাদি নানা ধরনের উন্নতি মানুষের চশমার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়েছে। ১৪৮৩ সালে নুরেমবার্গ শহরে শ্রেষ্ঠ চশমা প্রস্তুতকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সংগঠন করা হয়। ফলে সমস্ত ইউরোপে বাঁকা পুরু কাঁচের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরের ইতিহাস খুব একটা পরিষ্কার নয়।
কি করে যে চশমার বাঁকানো কাঁচ মাইক্রোসকোপে বা টেলেসকোপে এলো সে ইতিহাসও পরিষ্কার নয়। তবে এটা ঠিক যে, চশমা আবিষ্কারের অন্তত একশো বছর পর অনুবীক্ষণ ও দূরবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কার হয়। দূরবীক্ষণ যন্ত্র কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে নিশ্চিত করে সেটা জানা যায় না। এ নিয়ে অবশ্য প্রচলিত গল্প আছে। জার্মানীর ওয়েসেল শহরে হানস লিপারশি নামে এক চশমা নির্মাতা ছিলেন। একদিন তিনি চশমার দুটো কাঁচ খুলে কাঁচ দুটোর ভালমন্দ পরীক্ষা করছিলেন। কাঁচ দুটো নানা ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিলেন তিনি। সামনে পেছনে করছিলেন। দূরের একটি গির্জার দিকে মুখ করে তিনি এ কাজটি করছিলেন। হঠাৎ তার দু হাতের কাঁচ দুটো একটির সামনে আর একটি পড়ে যায়। লিপারশি অবাক হয়ে দেখতে পান দূরের গির্জার চূড়াটি অনেক কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। তারপর থেকেই এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হতে থাকে। অনলস পরিশ্রমে মানুষ একদিন আবিষ্কার করে ফেলে দূরবীন। লিপারশি যে টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছিলেন সেটা অবশ্যই ততটা মার্জিত ছিল না। একটি নলের ভিতর সামনে পেছনে দুটো কাঁচ বসিয়ে দিয়েই এই টেলিস্কোপ তৈরী করা হয়েছিল। এটার দ্বারা সামান্য কিছু কাজ চলত। এভাবেই অনেকদিন চলল। তারপর এলেন গ্যালিলিও গ্যালিলিও। তিনি এসে লিপারশির দূরবীন যন্ত্র উন্নত করে প্রথমবারের মতো কাজ উপযোগী দূরবীন তৈরী করলেন।
১৬০৯ সালে গ্যালিলিও ভিনিসের সেন্ট মার্ক টাওয়ারে অনেক লোকজন ডাকলেন। কয়েক মাইল দূরে একটি বিল্ডিংয়ের দিকে তাক করে উপস্থিত জনতাকে একে একে তার টেলিস্কোপের সামনে ডাকলেন। এক একজন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখল দূরের বাড়ীটির ছোট ছোট অংশগুলো পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। যন্ত্রটি ঘুরিয়ে কাছাকাছি একটি বস্তুতে তাক করে তিনি সবাইকে দেখালেন। সবাই দেখতে পেল বস্তুটি যেন তিন ফুটের মধ্যে এসে গেছে। এই ঘটনার কিছুকাল পর গ্যালিলিও দেশের কয়েকজন গণ্যমান্য নাগরিককে তার আবিষ্কার দেখানোর জন্য ডাকেন। এবার তিনি তার যন্ত্রটিকে অনেক শক্তিশালী করে তৈরী করেছিলেন। এবার তিনি আকাশের দিকে তাক করে টেলিস্কোপ ঘুরিয়ে সবাইকে দেখালেন। অবাক হয়ে সবাই দেখল বৃহস্পতি গ্রহকে ঘিরে আছে কয়েকটি চাঁদ, আর শনিকে ঘিরে আছে একটি বলয়।
গ্যালিলিওর আবিষ্কার এমন বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল যে তিনি রাতারাতি বিশ্ববিখ্যাত হয়ে গেলেন। তাকেই সবাই দূরবীন যন্ত্রের আবিষ্কর্তা হিসেবে মেনে নিল। সম্ভবত অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে। কে যে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন সেটা আজও জানা যায়নি। অনেকেই এই ধরনের একটি যন্ত্র আবিষ্কারের স্বপ্ন দেখতেন যা দিয়ে অত্যন্ত ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখা যায়। একই সময়ে অনেকেই এ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেন। রবার্ট হুক ও নেহেমিয়েগুক অবশ্য অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেয়া হয়; কিন্তু এ কৃতিত্ব তারা দুজন মাত্র পেতে পারেন না। মার্সেলো মালপাই নামের একজন বিখ্যাত ইতালীর চিকিৎসক প্রথমবারের মতো প্রাণী ও উদ্ভিদের গঠন বিশ্লেষণ করতে অনুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন। তাকে মাইক্রোসকোপিক এনাটমীর পিতা মেশিন আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত ছাপা যন্ত্রের আর কোন উন্নয়ন হয়নি। আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের জর্জ ক্লাইমার লোহার মেশিনে লম্বা ডাণ্ডা লাগিয়ে নতুন ধরনের মেশিন উদ্ভাবন করলেন। ফলে ছাপার কাজে চাপের বিষয়টি জোরদার হলো। ছাপ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর মেশিন ১৮২৭ সালে আবিষ্কার করলেন স্যামুয়েল রাস্ট।
সেই প্রাচীন ছাপা পদ্ধতি থেকে আজকের আধুনিক ছাপার মেশিনে আসতে মানুষের সময় লেগেছে চারশো বছরেরও বেশী। আধুনিক ছাপাযন্ত্র নিয়ে এগিয়ে এলেন জার্মানীর এক প্রকৌশলী, তাঁর নাম ফ্রেডারিশ কোয়েনিগ। ১৮০৬ সালে ৫ বছরের মতো ইংল্যাণ্ডে কাটিয়ে এসে তিনি আগেকার জোয়ালচাপা মেশিনে বাদ দিয়ে ধাতুর পাত বসানো মেশিন চালু করেন। কোয়েনিগের মনে হলো বাষ্প চালিত সিলিন্ডার দিয়ে সমতল ধাতব পাতের উপর সমতল অক্ষর বসিয়ে নিলে ছাপার কাজ আরও সহজ হবে। বিশেষ করে কাগজ উল্টে নিতে সুবিধে হবে। তিনি এই ধরনের একটি যন্ত্রও তৈরী করলেন। ফলে আগের ছাপাযন্ত্র সম্পর্কে ধারণা বদলে এবার নতুন ধারণা এলো। এবার টাইপগুলো বসানো হলো সমতলে আর তার ঠিক উপরে রাখা হলো সিলিন্ডার। এই সিলিন্ডারের তিন ধরনের গতি দেয়া হলো, প্রথমে এটি কাগজ টেনে নেবে, দ্বিতীয় গতিতে ছাপটি কাগজে লাগিয়ে নেবে এবং ছাপানো কাগজটি হাত দিয়ে সরিয়ে দেবার সুযোগ দেবে। তৃতীয় গতিতে মেশিনম্যানের কাছে নতুন কাগজ গ্রহণের জন্য ফিরে আসবে। এটাই ছিল প্রথম ঘুর্ণন ছাপাযন্ত্র, বলতে গেলে আধুনিক ছাপাযন্ত্রের আদিরূপ। বছর দুই পরে কোয়েনিগ আরও উন্নততর একটি যন্ত্র বানিয়ে সেটা পেটেন্ট করলেন। এবার তিনি সিলিন্ডারের ব্যাসার্ধ কিছুটা কমিয়ে দিলেন। এরমধ্যে টাইপ বসাবার স্থানও রইল, আরও বসানো হলো সিলিন্ডার উপর নীচ করার জন্য গীয়ার। আজকের পৃথিবীতে ফ্রেডারিশ কোয়েনিগের আবিষ্কারকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয় যেমনটি দেখা হয় লাইনোটাইপ মেশিনকে। এখনকার সব দ্রুতগতির ছাপাযন্ত্রই ঘুর্ণন ছাপাযন্ত্রের উন্নততর সংস্করণ।